নিজস্ব প্রতিবেদক : সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা আগামীকাল । কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পুজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। করোনা মহামারীর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই স্বাস্থবিধি মেনে এবার এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু পূরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রামকৃষ্ণ মঠের সহঅধ্যক্ষ ও মিশনের সহসম্পাদক হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, আগামীকাল রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এখানে পূজা আরম্ভ হবে। রাত ৩টায় পুস্পাঞ্জলি প্রদান এবং রাত ৪টায় হোম অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ভক্তদের মধ্যে পুস্পাঞ্জলি প্রদান করা হবে। এছাড়াও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন মন্ডপ ও মন্দিরে যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।