বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু চারদিকে নাগিনেরা তাদের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। গত ১৬ বছরের ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে।’
গণআন্দোলনে শহীদ বীরদের স্মরণে আজ শনিবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কারানির্যাতিত সাংবাদিক শহীদুল আলম, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষ সবসময় আত্মত্যাগ করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ‘৭১-এ যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন ভেবেছিলাম সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র পাব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার ছিলেন, সেই আওয়ামী লীগের হাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। ’৭৫ সালে তারা একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। এ কথা ভুললে চলবে না, বারবার বলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে বারবার দমন করতে নির্যাতন, গুম-খুনের আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে জুলাই মাসে ও বিগত ১৭ বছর এদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে।’
আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের অভিবাদন ও স্যালুট জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্যালুট জানান বেগম খালেদা জিয়াকে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। দীর্ঘ ৬ বছর কারাগারে ছিলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্ত হয়েছেন।’
অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অভ্যুত্থান ও আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে গঠিত সরকারের কাছেই দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বি। তাদের কাছে আশা, তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে নির্বাচন দিলে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।