স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু হচ্ছে। হাসপাতালটি চালু করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন এই চিঠি পাঠান।
বুধবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালটি চালু করার জন্য রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন একটি ডিও দিয়েছিলেন। সে কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি করোনা করোনাভাইরাস সংক্রমণসহ যে কোন মহামারী প্রতিরোধে পূর্বের ন্যায় রাজশাহী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক‘কে ডিও দেন মেয়র। এতে উল্লেখ করা হয়, ব্রিটিশরা বিগত ১৯০২ সালে সদর হাসপাতালের ভবনটি স্থাপন করে যা এই রাজশাহী শহরে অবস্থিত।
সদর হাসপাতালে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি ফ্রি চিকিৎসা দেয়া হতো। এভাবে কালের পরিক্রমায় এক পর্যায়ে ১৯৩৮ সালে সদর হাসপাতাল নামকরণ করা হয়। নামকরণ পরবর্তী সদর হাসপাতালে মেডিসিন, নাক, কান, গলা, হাড় জোড়া ইত্যাদির পাশাপাশি অপারেশন সেবাও পরিচালিত হতো।
পরবর্তীতে এখানে ডেন্টাল ইউনিট স্থাপন করে মেডিসিন, গাইনি ও হাড় জোড় চিকিৎসা সেবা শুরু করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৯৫৮ সালে স্থাপিত হওয়ার ফলে এই চিকিৎসাগুলো সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ২০০৪ সালের দিকে সদর হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাক, কান, গলা, চোখ এই চিকিৎসাগুলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু করা হয়। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেন্টাল ইউনিট এর কার্যক্রম চালু রয়েছে। এখন আবারও হাসপাতালটিতে অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।