ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামসুল হক ওরফে ভোলা মাস্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার ফরিদপুর জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
নওয়াবুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল শনিবার। ওই দিন এই পদে শামসুল হক একক প্রার্থী থাকায় তাঁকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে শামসুল হক ছাড়া দুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওই দুজন হলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া ও সরকারি ইয়াছিন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মো. আবদুল আজিজ। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে সেলিম মিয়ার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল আজিজ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করে নেন।
এর অগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন মৃধা। গত ১০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্যটি হয়েছিল।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হওয়ার দিন ধার্য ছিল আগামী ২০ অক্টোবর। শনিবার ছিল এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন শামসুল হক এই পদে একক প্রার্থী থাকায় তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে লোকমান হোসেন মৃধাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন শামসুল হক। তবে বাছাইকালে শামসুলের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়।
শামসুল হক বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। এর আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭১ বছর। তিনি ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের কসিমউদ্দীন ব্যাপারীর ডাঙ্গী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
শামসুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের কাউন্সিলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমার কাছে, জেলা পরিষদের কাছে। তবে আমার কাজ হচ্ছে জেলা পরিষদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সততার সঙ্গে জেলার সর্বোচ্চ উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।’