প্রতিবেশী দেশ ভারত ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাই কমিশন এখানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২০ জন ভারতীয় বীর যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বর্ষ পুর্তি ও মৈত্রী দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এই বীর যোদ্ধাদেরকে নগরীর কামানি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে এই দিনটির স্মরণে দু’টি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকা ও নয়া দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে দিবসটি স্মরণ করা হয়।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে গতকালের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিংহ প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সিমিন হোসেন রিমি, এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে দেশকে স্বাধীন করতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাদের সাহসী ভূমিকা ও তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী দেড় হাজারেরও বেশি ভারতীয় সেনাকে সম্মানিত করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। পরে দুই প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বীর যোদ্ধাদের মাঝে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত, দেশাত্ববোধক গান, লোকগীতি ও লোক নৃত্য পরিবেশিত হয়। শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরি বন্যা, লোক সংগীত শিল্পী যুগল কিরন চন্দ্র রায় ও চন্দনা মজুমদার, আগুনসহ অনেকে। নৃত্য শিল্পী দল তাদের পরিবেশনায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরে।